কমলাকান্ত বিড়ালের বক্তব্যসকল দিব্যকর্ণের মাধ্যমে শুনতে পেল, যা তার জাগ্রত বিবেককে নির্দেশ করে।
লোকচক্ষুর অন্তরালে অতীন্দ্রিয় শক্তির ফলে মানুষ যা বুঝতে সক্ষম হয় তাই দিব্যকর্ণ। স্বাভাবিকভাবে বিড়ালের ‘মেও’ শব্দের মাধ্যমে কোনো বক্তব্য জনসাধারণের বোধগম্য হয় না, কিন্তু কমলাকান্ত সচেতন চিত্তের অধিকারী বলে আপন অনুভবে তার বক্তব্যের যথার্থতা উপলব্ধি করে। অর্থাৎ কমলাকান্ত উচ্চ মানসিক চেতনাসম্পন্ন হওয়ায় অলৌলিকভাবে বিড়ালের বক্তব্যসকল বুঝতে সক্ষম হয়।
